Monday, November 4, 2024

বয়স ধরে রাখে এই ৫ খাবার বয়স ধরে রাখার জন্য কিছু খাবার শরীরকে সুস্থ রাখে এবং বয়সজনিত পরিবর্তনগুলো ধীর করে। এই ধরনের খাবারগুলো সাধারণত অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ভিটামিন, মিনারেল এবং ভালো ফ্যাটে সমৃদ্ধ হয়ে থাকে। জেনে নিন এই ৫টি খাবার সম্পর্কে, যা বয়সের ছাপ ধীর করতে সহায়তা করতে পারে। ১. বেরি ফল: বেরি জাতীয় ফলগুলোতে প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে, বিশেষ করে ভিটামিন সি এবং অ্যান্থোসায়ানিনস। এই উপাদানগুলো ত্বকের বয়সের ছাপ কমাতে এবং তারুণ্য ধরে রাখতে সহায়তা করে। ২. অলিভ অয়েল: অলিভ অয়েল একটি স্বাস্থ্যকর ফ্যাটের উৎস যা ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখে এবং ত্বকের বয়সের ছাপ কমাতে সহায়তা করে। এতে ভিটামিন ই এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে, যা ত্বকের ক্ষতি রোধ করতে পারে। ৩. বাদাম: বাদাম বিশেষ করে আমন্ড এবং আখরোটে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড এবং ভিটামিন ই আছে, যা ত্বকের নমনীয়তা বজায় রাখতে সহায়তা করে। এছাড়া এটি মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বাড়ায় এবং হৃদযন্ত্র সুস্থ রাখে। ৪. সবুজ শাকসবজি: সবুজ শাকসবজিতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি, এ এবং কে রয়েছে। এই উপাদানগুলো ত্বকের কোলাজেনের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়, যা ত্বককে মসৃণ রাখে এবং বয়সের ছাপ কমায়। ৫. ফ্যাটি ফিশ: ফ্যাটি ফিশ যেমন স্যালমন বা ম্যাকারেল ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ। এটি ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখতে সাহায্য করে এবং প্রদাহ কমাতে সহায়তা করে, যা বয়সের ছাপ কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এই খাবারগুলো নিয়মিত খাদ্যতালিকায় অন্তর্ভুক্ত করলে তা বয়সের ছাপ কমাতে এবং সার্বিকভাবে সুস্থতা বজায় রাখতে সহায়তা করবে।

Sunday, November 3, 2024

ঋতু পরিবর্তন সচেতনতা

 চিকিৎসকদের মতে, ঋতু পরিবর্তনের এই সময়ে সংক্রমণ দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে, বিশেষত বয়স্ক ও শিশুদের মধ্যে। ফলে হাসপাতালগুলোতে রোগীর বাড়তি চাপ লক্ষ্য করা যায়। বাংলাদেশের স্বাস্থ্য বিভাগের ডাটা থেকেও এর সত্যতা লক্ষ্য করা যায়।


স্বাস্থ্য অধিদফতর এবং রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর) -এর নিয়মিত পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী, শীতকালে এবং ঋতু পরিবর্তনের সময় সাধারণত ইনফ্লুয়েঞ্জার প্রকোপ বেড়ে যায়। ২০১৬ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত প্রতি বছর দেশে ইনফ্লুয়েঞ্জা এবং শ্বাসতন্ত্রজনিত গুরুতর অসুস্থতার জন্য হাসপাতালে আসা রোগীর মধ্যে ১৫-২৬ শতাংশই ইনফ্লুয়েঞ্জায় আক্রান্ত ছিল।

ঋতু পরিবর্তন স্বাভাবিক ঘটনা। আর এ সময়ে সর্দি-কাশি, ইনফ্লুয়েঞ্জা, ফ্লো-এর সংক্রমণ ঘটে। তাই সবাইকে সতর্ক ও সচেতন থাকতে হবে। রাজধানীসহ সারাদেশেই বায়ু দূষণ রয়েছে। ফলে অসুস্থতা ছড়াচ্ছে, বিশেষ করে দীর্ঘমেয়াদি শ্বাসতন্ত্রজনিত রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিরা অধিক ভুগছেন। তাই অপ্রয়োজনের বাইরে যাওয়া যাবে না। সতর্কতার কোনো বিকল্প নেই।
—ডা. এবিএম আব্দুল্লাহ

Saturday, November 2, 2024

ডেঙ্গু রোগীর ক্ষেত্রে করণীয়

 

সাধারণত জুলাই থেকে অক্টোবর মাস পর্যন্ত ডেঙ্গুর প্রকোপ বেড়ে যায়। বাড়তে থাকে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা। এ সময় বাড়িতে ডেঙ্গু রোগীর চিকিৎসা হলে অবশ্যই মাথায় রাখতে হবে কিছু প্রয়োজনীয় বিষয়।
দেশে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে।

ডেঙ্গুর প্রধান লক্ষণ হলো জ্বর। এ সময় তাপমাত্রা ৯৯ থেকে ১০৬ ডিগ্রি ফারেনহাইট পর্যন্ত উঠতে পারে। জ্বর টানা থাকতে পারে, আবার ঘাম দিয়ে জ্বর ছেড়ে দেয়ার পর আবারও আসতে পারে। এর সঙ্গে শরীরে ব্যথা, মাথাব্যথা, চোখের পেছনে ব্যথা এবং চামড়ায় লালচে দাগ বা ফুসকুড়ি দেখা যায়।

কোনো কারণে বাড়ির কোনো সদস্য ডেঙ্গু আক্রান্ত হলে ভাইরাসজনিত এ জ্বরে কী করবেন অনেকেই ভেবে পান না। এ সময় আতঙ্কিত না হয়ে বরং পরিবারের সদস্যদের সুরক্ষা নিশ্চিতে কিছু বিষয় লক্ষ্য রাখুন।

ডেঙ্গু হলে সতর্ক থাকা উচিত। সেই সঙ্গে রোগীর খাবারের প্রতিও মনোযোগ দেয়া উচিত। যেমন: দুগ্ধজাতীয় খাবার, মাছ, মাংস, ডাল, ডিম, বাদাম ইত্যাদি প্রতিদিন খাওয়া একান্ত জরুরি।



ডেঙ্গু রোগীর খাবার

১। এ সময় প্লাটিলেটের সংখ্যা বাড়ানোর জন্য সবচেয়ে পরিচিত হলো পেঁপেপাতার রস। তেতো লাগলেও এই রস ডেঙ্গু মোকাবিলায় ভীষণ উপকারী।

২। দুগ্ধজাতীয় খাবার প্রোবায়োটিকসের উৎস। দইয়ে থাকা ল্যাকটোব্যাসিলাস নামক ব্যাকটেরিয়া আমাদের অন্ত্রের উপকার করে। ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হলে দুগ্ধজাত খাবার শরীরে পটাশিয়াম, ফসফরাস ও সোডিয়ামের পরিমাণ ঠিক রাখতে সাহায্য করে।

৩। প্রোটিনজাতীয় খাবার তাড়াতাড়ি রোগ সারাতে মুখ্য ভূমিকা নেয়। তাই এই সময় খাবারে মাছ, মাংস, ডাল, ডিম, বাদাম ইত্যাদি থাকা একান্ত জরুরি।

৪। ভিটামিন সি ও ফোলেটও প্লাটিলেটের সংখ্যা বাড়াতে সাহায্য করে। যেমন: কমলালেবু, পাতিলেবু, জলপাই, আনারস, বেরি ও কিউই ফলে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি রয়েছে। ডেঙ্গু হলে এসব বেশি বেশি খাওয়া উচিত।

৫। সবুজ শাকসবজি ভিটামিন কে এবং আই এর উৎস। পার্সলে পাতা, পালং শাক, পুদিনা, বাঁধাকপি, শতমূলী ইত্যাদি রক্তে প্লেটলেটের সংখ্যা বাড়াতে সাহায্য করে।

৬। ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হলে চিকিৎসক কুমড়ো খাওয়ার পরামর্শ দেন। কুমড়ো ভিটামিন এ এর সমৃদ্ধ উৎস যা রক্ত জমাট বাঁধতে সাহায্য করে।

৭। জ্বরে আক্রান্ত রোগীর ক্ষেত্রে তরল খাবার খাওয়া তুলনায় সহজ। তাই এই সময় শক্ত খাবারের পরিবর্তে তরল খাবার যেমন মাংসের স্যুপ,দইয়ের লস্যি ইত্যাদি খাওয়ানো উচিত। এ ক্ষেত্রে খাবার দুই-আড়াই ঘণ্টা অন্তর পরিবেশন করা ভালো।

৮। ডাবের পানি, লেবুর শরবত, ফলের জুস, খাবার স্যালাইনের মতো তরলজাতীয় খাবারের পরিমাণ বাড়িয়ে দিন।
ডেঙ্গু রোগীর ওষুধ

১। ডেঙ্গু জ্বরে প্যারাসিটামল খাওয়ান। তবে লিভার, হার্ট এবং কিডনি সংক্রান্ত জটিলতা দেখা দিলে প্যারাসিটামল ওষুধ খাওয়ানোর আগে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

২। ডেঙ্গু জ্বরে শরীরে ব্যথা অনুভব হলে সেক্ষেত্রে অ্যাসপিরিন, ক্লোফেনাক, আইবুপ্রোফেন জাতীয় ওষুধ খাওয়াবেন না। চিকিৎসকরা বলছেন, ডেঙ্গু জ্বরে এমন ওষুধ গ্রহণে রক্তক্ষরণের শঙ্কা থাকে।

তাই ডেঙ্গু রোগীর একমাত্র ওষুধ প্যারাসিটামল বা নাপা। ব্যথা ও জ্বরের পরিমাণের ওপর প্যারাসিটামল খান। সাধারণত খাবারের পর সকালে একটি ও রাতে একটি নাপা খেতে পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। তবে বেশি খারাপ লাগলে দুপুরের খাওয়ার পরও একটি নাপা খাওয়া যেতে পারে। তবে একদিনে চারটি নাপা খেতে নিষেধ করছেন বিশেষজ্ঞরা। ওষুধ গ্রহণের পাশাপাশি বাড়িতে ডেঙ্গু রোগীকে পরিপূর্ণ বিশ্রামে রাখুন।

ডেঙ্গু রোগীর ক্ষেত্রে করণীয়
সাধারণত জুলাই থেকে অক্টোবর মাস পর্যন্ত ডেঙ্গুর প্রকোপ বেড়ে যায়। বাড়তে থাকে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা। এ সময় বাড়িতে ডেঙ্গু রোগীর চিকিৎসা হলে অবশ্যই মাথায় রাখতে হবে কিছু প্রয়োজনীয় বিষয়।
দেশে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে।

ডেঙ্গুর প্রধান লক্ষণ হলো জ্বর। এ সময় তাপমাত্রা ৯৯ থেকে ১০৬ ডিগ্রি ফারেনহাইট পর্যন্ত উঠতে পারে। জ্বর টানা থাকতে পারে, আবার ঘাম দিয়ে জ্বর ছেড়ে দেয়ার পর আবারও আসতে পারে। এর সঙ্গে শরীরে ব্যথা, মাথাব্যথা, চোখের পেছনে ব্যথা এবং চামড়ায় লালচে দাগ বা ফুসকুড়ি দেখা যায়।

কোনো কারণে বাড়ির কোনো সদস্য ডেঙ্গু আক্রান্ত হলে ভাইরাসজনিত এ জ্বরে কী করবেন অনেকেই ভেবে পান না। এ সময় আতঙ্কিত না হয়ে বরং পরিবারের সদস্যদের সুরক্ষা নিশ্চিতে কিছু বিষয় লক্ষ্য রাখুন।

ডেঙ্গু হলে সতর্ক থাকা উচিত। সেই সঙ্গে রোগীর খাবারের প্রতিও মনোযোগ দেয়া উচিত। যেমন: দুগ্ধজাতীয় খাবার, মাছ, মাংস, ডাল, ডিম, বাদাম ইত্যাদি প্রতিদিন খাওয়া একান্ত জরুরি।

ডেঙ্গু রোগীর খাবার

১। এ সময় প্লাটিলেটের সংখ্যা বাড়ানোর জন্য সবচেয়ে পরিচিত হল❤️

More...https://t.me/Alamgir0160/87

redirect

https://www.effectivegatecpm.com/wweqf9q4a?key=11411235fc1ea1b18659fe0f01cf0520